শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়ানে নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. সাব্বির হোসেন মাদ্রাসার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মাদ্রাসায় যোগদানের চেষ্টা করলে এলাবাসীর বাধার মুখে পড়েন। এতে ওই কর্মচারি যোগদান করতে পারেননি। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী ভাণ্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামের মো, আনছার উদ্দিন এর ছেলে।
অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপার অভিযুক্ত কর্মচারিকে দায়সারা শোকাজ দিয়ে এ বিষয়ে নিরব রয়েছেন। এমন অভিযোগে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা গত ১৩ আগষ্ট থেকে অনির্দৃষ্ট কালের জন্য ক্লাশ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে গত আট দিন ধরে মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেনীর কার্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মাদ্রাসার কোনও শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাননি।
এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসির মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই কর্মচারিকে মাদ্রায় যোগদানে বাঁধা দিয়ে ২৪ জন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ক্ষুব্দ এলাকাবাসি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. সাব্বির হোসেন গত পাঁচ মাস আগে মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গত পাঁচ মাস ধরে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিবাহ বহির্ভূতভাবে পলাতক থাকেন। যাহা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ৬ নং আইন) এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকুরি বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী আইনত অপরাধ । এ অনৈতিক ঘটনায় মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী,অভিভাবক সহ গ্রামবাসির মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে মাদ্রাসায় নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতে শুরু করে।
এ ব্যাপারের মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এ. কে. এম শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, স্টুডেন্ট নাই, হ্যা আপনাকে রেজুলেশন পড়ে শুনাইয়া দিমু আনে, ইউএনও স্যারের রেরেজুলেশন করা আছে। রেজুলেশন এখন কাছে নাই তাই বলতে পারবোনা। আপনি নিয়মিত মাদ্রাসায় কেন থাকেন না? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন আমি শতভাগ মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকি।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহানা আক্তার বলেন, মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মো. সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় তদন্ত করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক সকল ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় ফিরে আসার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।