শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রফতারকৃতরা হলেন, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠি এলাকার মোজাহার হাওলাদারের ছেলে রিকশাচালক মো. জাহিদ (৪০) এবং একই এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ (৩২)। জিহাদ দৈনিক কীর্তনখোলা পত্রিকার ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোমবার গভীর রাতে ভান্ডারিয়া থানার হাসপাতাল মোড়ে ফারুকের দোকানের সামনে রাত ৩টার দিকে একটি বেঞ্চের ওপরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে রিকশাচালক মো. জাহিদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধারণ করে। পরবর্তীতে জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধর্ষক মো. জাহিদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করে। পরবর্তীতে জিহাদ নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করলে পুলিশের নজরে আসলে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিক জিহাদ ধর্ষণের সময় কোনোরকম বাধা প্রদান না দিয়ে একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর কারণে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এ বিষয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও বিটিআরসির সঙ্গে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভিডিও ডাউন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত দুজনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।