শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকায় পলী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী গ্রামে তার বাবার আবাসনের মেঝে থেকে ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী ও সন্তানসহ তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহত গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনরা বলছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে তার স্বামী হাসান মৃধা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং পরে লাশ মেঝেতে ফেলে আত্মহত্যার মতো ঘটনা তৈরির চেষ্টা করছে।
নিহত পলী বেগম মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর থেকে হাসান মৃধার স্ত্রী এবং তিনি এক দুই বছর বয়সী সন্তানের মা। এই ঘটনার পরে গৃহবধূর স্বামী হাসান মৃধা ও তার শ্বশুর লিটন হাওলাদারকে পুলিশ আটক করেছে যাতে তাদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শহরের সবুজনগর এলাকার মো. নাসির মৃধার ছেলে হাসান গত তিন বছর আগে একই উপজেলার হারজী গ্রামের লিটন হাওলাদারের কন্যা পলী বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পরকীয়া নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গত দুইদিন আগে পলী তার স্বামী হাসান ও দুই বছরের সন্তানের সঙ্গে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের মধ্যে তর্কবির্তক হয় এবং পরে তারা ঘুমাতে যান। মধ্যরাতে জামাই হাসান তার শশুরকে ডেকে আশ্বস্ত করে জানান যে পলী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। পলীর বাবা লিটন হাওলাদার এসে দেখেন, তার মেয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে নিহত গৃহবধূর খালা নুসরাত বেগম অভিযোগ করেন, “আমার বোনের মেয়েকে দাম্পত্য কলহের কারণে তার জামাই লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখেছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
হাসানের মা বিউটি বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা সঠিক তদন্তের অপেক্ষায় আছি।”
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পাওয়ার পর বাবার আবাসন থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।