শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কচুবাড়িয়ায় শুক্রবার বিকেলে কুলসুম আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সুমন মৃধা (৩০) কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের কুদ্দুছ হাওলাদারের মেয়ে কুলসুম আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে ১০ বছর পূর্বে সাপলেজা গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে সুমন মৃধার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সুমনা আক্তার ফাতিমা নামের কন্যা সন্তানটির বর্তমান বয়স প্রায় ৭ বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্বামী সুমন প্রায়ই স্ত্রী কুলসুম আক্তার কে নির্যাতন করতো । এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শালিস-ব্যবস্থা হয়। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীতে স্বামী সুমনের বিরুদ্ধে কুলসুম আক্তার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে সুমন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকে। প্রায় দুই মাস পূর্বে ওই মামলা আপোষ-মিমাংসার শর্তে কুলসুম আক্তারের পরিবার প্রত্যাহার করেন। নিহত কুলসুম আক্তারের ভাই মাহাবুব অভিযোগ করে বলেন, মামলা প্রত্যাহার হওয়ার পর স্বামীর বাড়িতে থাকতো কুলসুম। কিন্তু ইদানিং আবারও তার বোন কুলসুমের ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে আমার বোনের মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ.জেড.এম মাসুদুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। নিহতের স্বামী সুমন মৃধাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।