শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
নাটোরেরর বড়াইগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা এসেছে কিনা দেখার জন্য এক বিধবাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় গ্রাম পুলিশ। এ সময় বিধবার চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে আটক করে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ আইনের লোক তাকে ছেড়ে না দিলে বিপদে পড়বে হুমকির প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে হযরত আলীকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিক্ষুদ্ধ লোকজন মিছিল করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগর ইউনিয়নের পাচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিধবা ওই নারী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা জানতে বাড়ির অনিত দূরে গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে ফোন দেন তিনি। এ সময় হযরত আলী মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। তিনি ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় গ্রাম পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনার পর গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে স্থানীয়রা আটকে রাখে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ফোন দিয়ে জানান গ্রাম পুলিশ একজন আইনের লোক তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় যারা আটকে রেখেছে তারা বিপদে পড়বে। ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে স্থানীয়রা হযরত আলীকে ছেড়ে দেয় এবং অতঃপর তাকে এলাকায় আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, নির্যাতিতা বিধবা নারী তার কাছে এসেছিলো। তাকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিবে তিনি তাতে সম্মত রয়েছেন।
বড়াইগ্রামের এএসপি (সার্কেল) হারুন-অর-রশিদ জানান, ওই বিধবা নারী থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।