দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষখালী নদীর তীরবর্তী বিধ্বস্ত ভেরিবাঁধ নির্মানের জন্যে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানালেন পানি উন্নয়ণ বোর্ড বরিশালের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশীদ।
তিনি আজ বুধবার ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া ও রাজাপুর উপজেলা অংশের বিষখালী নদীর তীরবর্তী বিধ্বস্ত ভেরিবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্তরা প্রধান প্রকৌশলীকে জানান, প্রতিদিন জোয়ারের পানি ঢুকে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে, নষ্ঠ হচ্ছে জমির ফসল, পানের বরজ, ভেসে যাচ্ছে জলশয়ের মাছ ও গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা। ফলে প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মারাত্মক জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয় এ এলাকায়।
সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে চিংড়াখালী থেকে বড় কাঠালিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বাঁধ নিঃচিহৃ হয়ে যায়। এ সকল এলাকার বাড়ী-ঘর, রাস্তাঘাট, ফসলী জমি, ও স্থাপনা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। অতি ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে কাঠলিয়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, আউরা, কাঠালিয়া, বড় কাঠালিয়া, চিংড়াখালী, জয়খালী, উপজেলা হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর, শৌলজালিয়া, রঘুয়ারচর ও দররঘুয়ার চর এলাকা। স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঠালিয়ার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে এ সকল এলাকা ও স্থাপনা গুলো। তাই বিষখালী নদী শাসন ও টেকসই বাঁধ নির্মানের জোর দাবি জানান।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ণ বোর্ড বরিশাল এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফি উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এমাদুল হক মনির, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামান বদু সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, ইউপি রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক কামাল, কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন, আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন নকীব, এ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম খোকন সিকদার, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা কাওসার আহম্মেদ জেনিভ, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ শাখাওয়াত হোসেন অপু, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাহামুদুল হক নাহিদ সিকদার, ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক জুয়েল, সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার, লঞ্চঘাট ইজারাদার মোঃ তুহিন সিকদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।