শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
গাজী আবুল কালাম, ইন্দুরকানী,পিরোজপুরঃ
মানুষ মানুষের জন্য এটা শুধু প্রবাদ বাক্যই নয় এর বাস্তব দৃষ্টান্ত হলেন ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহীদ। তিনি এ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই মানব সেবায় বিভিন্ন ভাবে অবদান রেখেই চলেছেন।
কর্মজীবনে শত ব্যস্থতা থাকার পরও সরকারের এই কর্মকর্তা সমাজের ভালো কাজ গুলো করতে ভুলে যাননি । দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় ইন্দুরকানী উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয় । পুলিশ প্রশাসন ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ,জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিনে রাতে অবিরামভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে উপজেলার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অনেক কম। আক্রান্ত এলাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম সদা সর্বদা জোরদার রেখেছিলেন।আলাপকালে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও অর্পিত দায়িত্ব ও জনসাধারনের কোনো ভাবেই ক্ষতি হতে দিবনা। জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কর্মস‚চী ও কর্মপরিকল্পনা সুচারুভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী তিনি।
মহামারী করোনার কড়াল গ্রাস বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের এক মাত্র আশার আলো পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহিদ। যিনি এই উপজেলার সকল মানুষের আর্শিবাদ হয়ে এসেছেন এই উপজেলায়। এই মহান হৃদয়ের মানুষটি বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা আবুল হোসেন ,মাতা বেগম মাহমুদা হোসেনের কোল জুড়ে ২৬ মে ১৯৮৫ ইং জন্ম নেয় এইমানব দরদি মহান ব্যাক্তিটি । ১৪ জানুয়ারী ২০০১ ইং তারিখে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি তার কর্ম সময়টি এমন ভাবে পার করেন যেন ২৪ ঘন্টাই তার কাজের সময় উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে চলছেন অবিরাম। তার কার্য্যালয় দরজা সব সময় মানুষের জন্য খোলা থাকে। মানুষের কোন রকম অসুবিধার কথা শুনলে ছুটে যান তাদের নিকট। এই করোনা মহামারীতে ত্রান সহায়তা নিয়ে রাতদিন ছুটেছেন গরীব অসহায় প্রতিটি পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে। তিনি মাত্র কয়েক মাসে উপজেলা বাসির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
আপনি যদি ইন্দুরকানী উপজেলায় প্রবেশ করে সাধারণ মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম তবে অনায়াশে তিনি স্যারর নামটি বলতে পারবেন কারন তিনি প্রতিটি মানুয়ের কাছে পৌছে গিয়েছেন কাজের মাধ্যেমে। ইন্দুরকানী উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে হাতে নিয়েছেন অনেক পরিকল্পনা।
অতি দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহ নির্মান বাস্তবায়নে তিনি নিজেই তদারকি করেন, এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহীদ।
এরই মধ্যে সদ্য যোগদানকারী এই কর্মকর্তার ঘর বিতরন নিয়ে বিভিন্ন মহতি উদ্ধোগের কারনে এই অঞ্চলের অধিকার বঞ্চিত মানুষের মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছে।
গরীবের বন্ধু এই মানব দরদি মানুষটির মনে স্থান পায় সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত, নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর। জনদরদি উপজেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অফিস চলাকালীন সময়ের বাইরেও ঘুরে বেড়ান প্রত্যান্ত এলাকায়। খোঁজ নেন অসহায় মানুষদের ভালো মন্দের। সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ শুনছেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে। ব্যাবস্থাও নিচ্ছেন তড়িৎ গতিতে। মানুষের অধিকার ও আইনি সেবা দিতে তিনি সব সময় চৌকশ ভূমিকা পালন করতেছেন। যেটা ইন্দুরকানী উপজেলার ইতিহাসে বিরল। ইতিমধ্যে সরকারী এই কর্মকর্তার এমন দুঃসাহসিক ও অকল্পনীয় কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একদিকে সরকারের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা, পাশাপাশি মানুষ মানুষের জন্যÑ এই দুটি বিষয় মাথায় রেখে যা যা করার তাই করব। জীবনে অন্যায় ও দূর্নিতীর সাথে আপোস করিনি। কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করিনি। আমি অনিয়ম, দূর্নীতি পছন্দ করিনা, কাউকে করতেও দেবনা। সকল বাধা উপেক্ষা করে জনগনের মৌলিক অধিকার পাইয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন তিনি।
পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার বাবুল, বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী সহ সকলেই প্রায় একই সুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রসংসা করেন। তারা মনে করেন, এখন সব কাজ শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এমন অফিসার আরও আগে ইন্দুরকানীতে দরকার ছিল। তাহলে বারবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিদ্ধস্ত এই অঞ্চলের অতি দরিদ্র মানুষদের সৌভাগ্যের চাকা অনেক আগে থেকেই ঘুরতে শুরু করত।
তারা আরো জানান চৌকশ গুনের অধিকারী এই সরকারী কর্মকর্তার সব ভাল কাজের সাথে আমরা সহযোদ্ধা হিসেবে সব সময় পাসে থাকব।
প্রত্রিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে যারা অতীতে ছিনিমিনি করেছে তাদের মানুষত্ব্য ও বিবেক বলতে কিছু আছে তা আমার মনে হয়না। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ড আরো বেগবান করার জন্য সকলের সহোযোগীতা কামনা করেন তিনি।