শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের বসতভিটা রক্ষার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত উদ দৌলা খানের কাছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের কৃতী সন্তান, এ উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের জন্মভূমিতে থাকা তাঁর স্মৃতি বিজরিত বসতভিটি ও সম্পত্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন নবীনগর এলাকাবাসী।
রবিবার (২২ নভেম্বর) এলাকাবাসীর পক্ষে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম ও বিটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম পৃথক তিনটি আবেদনের মাধ্যমে এই দাবিগুলো জানান।
অভিযোগ রয়েছে, দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া মূল্যবান ঐ সমস্ত সম্পত্তিকে সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত করে সেখানে এখন গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরি করছেন।
দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য ১৯৪৩ সালে মৃত্যুবরণ করার আগে তাঁর জন্মভূমি বিটঘরে নিজের বসত ভিটিসহ প্রায় ১৮ বিঘা জায়গা জমি ফেলে রেখে গেছেন।
এলাকাবাসী জানান, তিনি জীবনভর মানুষের কল্যাণে জীবনের সর্বস্ব দান করে গেছেন। কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস, দাতব্য চিকিৎসালয় ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও কীর্তি রয়েছে। নবীনগর থেকে জেলা সদরে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়কটিও তাঁর অবদানে নির্মিত হওয়ায়, এলাকাবাসী শ্রদ্ধাভরে তাঁর নামানুসারে সড়কটির নামকরণ ‘মহেশ রোড’ রেখেছেন।
এলাকাবাসী জানান, সেই দানবীরের রেখে যাওয়া বিটঘর গ্রামে দীঘির পাড়ে প্রায় ৭৪ শতক খালি জায়গায় সম্প্রতি ‘ভূমিহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ’ কাজ শুরু করেছে সরকার।এতে করে এলাকাবাসীর মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে আবেদনকারী বিটঘরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের জায়গা সম্পত্তিকে সকলের অগোচরে ১ নম্বর খাস খতিয়ান বানিয়ে সেখানে এখন ‘গুচ্ছগ্রাম’ বানানোর পাঁয়তারা চলছে। তাই আমরা এর প্রতিকার চেয়ে ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘সরকার জনকল্যাণে সরকারি খাস জায়গায় সরকার মুজিববর্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। তাছাড়া মহেশ ভট্টাচার্যের জায়গা যদি খাস খতিয়ান হয়েও থাকে, সেটির প্রতিকারে কেউ তো এ নিয়ে এখনও আপিল করেননি।’
তিনি আরো জানান, তবে মহেশ ভট্টাচার্যের স্মৃতি রক্ষায় এলাকার পক্ষ থেকে কেউ ভালো প্রস্তাবনা দিলে সেটি আমরা অবশ্যই গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা করব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২০ নভেম্বর একটি সংবাদ মাধ্যমে “নবীনগরে দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের বসতভিটা রক্ষার দাবি শিরোনামে “একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।