শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
সরাইলে এবার ক্ষোভে দু:খে জনগণের কষ্ট লাঘব করতে নিজেই কোঁদাল হাতে মাটি কাটতে নেমে গেলেন সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। শনিবার সকালে সাবেক এই সাংসদ অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার নেতৃত্বে ও মো. রহিম মিয়ার সহযোগিতায় সরাইল-অরূয়াইল সড়কের লোপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন লোকজন। এ কাজ চলমান থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিধ্বস্ত সড়কটির সংস্কার কাজ এখনো না হওয়ায় বর্তমান সাংসদদের প্রতি বিষোদাগার করেছেন সাবেক সাংসদ মৃধা। সেই সাথে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সড়কটির সংস্কার না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র জানায়, সাবেক এমপি এমপি জিয়াউল হক মৃধা ২০১০ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালিন সরাইলের ভাটি এলাকার স্বপ্নের সরাইল-অরূয়াইল সড়কটি নির্মিত হয়েছিল। এতে করে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হাওর বেষ্টিত এলাকার ৬ লক্ষাধিক মানুষের। লাঘব হয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের দু:খ কষ্ট। জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকজনের চেষ্টায় সংস্কারও হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় চুন্টার লোপাড়া থেকে ভূঁইশ্বর বাজার পর্যন্ত সড়কটি প্রায় বিলীনই হয়ে গেছে। সংস্কার ও জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গত ৪-৫ মাস ধরে এ সড়কে যাতায়াত করছেন ৩ ইউনিয়নের লোকজন । আর রোগীদের জন্য তো সড়কের এই অংশটি এখন মরণ ফাঁদ। দিনদিন এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন, চালক ও যাত্রীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
বর্তমান সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ও সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকজন এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাই ভুক্তভোগী লোকজন ক্রমেই ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠছেন। সেই সাথে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছেন দুইবারের নির্বাচিত ও বর্তমানে সাবেক সাংসদ জাপা নেতা জিয়াউল হক মৃধা। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য তিনি স্বেচ্ছায় নিজ হাতে কোঁদাল নিয়ে মাটি কেটে সড়কে ফেলেছেন। তার সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কে মাটি ফেলেছেন জাপার স্থানীয় নেতা কর্মীরা। স্থানীয়ভাবে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন মো. রহিম মিয়া।
শেষে রহিম মিয়ার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জিয়াউল হক মৃধা বর্তমান সাংসদ ’র উদ্যেশ্যে বলেন, চোখের সামনে মানুষের কষ্ট দেখেও না দেখার ভান করছেন কেন? জনগণের জন্য কিছু করুন। আপনি তো ২০ বছর সাংসদ থেকেও সড়কটি করতে পারেননি। শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের সহযোগিতায় অনেক কষ্টে সড়কটি করেছি। সাড়ে ৮ কোটি টাকার সংস্কার কাজেরও ব্যবস্থা করেছি। এখন বিধ্বস্ত এই অংশটির জন্য কিছু করছেন না কেন? তিনি বর্তমান সাংসদ ’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, উনি উনার যুবরাজকে ছাড়া কোথাও যান না। সবকিছুতে উনি যুবরাজকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। যুবরাজকে ভবিষ্যতে এমপি বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। এ জনপদের মানুষকে তিনি বুকা ভাবছেন। আমার সময়ে টিআর কাবিখার তালিকা বাহিরে ঝুলিয়ে দিতাম। তিনি ওই তালিকা ঝুলাতে দেন না। কারণ ঢাকায় বসে পারসেন্টিজ নিয়ে টিআর কাবিখা’র তালিকা তৈরী করছেন। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সড়কটি সংস্কার না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মৃধা ও রহিম মিয়া।