শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
মোঃ রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি
“স্কুল ফিডিং বিস্কুট” দারিদ্র পীড়িত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত কোমলমতি শিশুদের মাঝে দুপুরে খাদ্য চাহিদা পূরনের একটি কর্মসূচী। করোনার চলমান পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু থেমে নেই পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এ কর্মসূচি। কোভিট-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) গত ২৫ শে নভেম্বর থেকে চতুর্থবারের মতো উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে স্কুল ফিডিং বিস্কুট তুলে দিয়ে এ কর্মসূচীর সূচনা করেন। জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্কুল ফিডিং এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১২ টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও ১ টি শিশু কল্যান ট্রাস্ট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে ৫০-৫১ প্যাকেট উচ্চ পুষ্টি ক্ষমতা সম্পন্ন ( স্কুল ফিডিং) এ বিস্কুট অভিভাবকরা হাতে হাতে পাবেন। মনিটরিং এন্ড রিপোটিং অফিসার মানষ কান্তি সমাদ্দার জানান, আমরা প্রথমে গত ১৭ নভেম্বর আওতাভুক্ত স্কুলগুলতে এ বিস্কুট পাঠাই। সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান বুঝে পাওয়ার পরে গত ২৫ নভেম্বর আমাদের ফিল্ড মনিটরগণ স্কুল স্যারদের সাহায্য নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিস্কুট হাতে পেয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা খুশি। তিন আরও জানান এ কর্মসূচী চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্যঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) পরিচালিত সমীক্ষা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রথমবারের মতো অপেক্ষাকৃত দারিদ্র্যপীড়িত উপজেলাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। প্রতি ৭৫ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট এক প্যাকেট বিস্কুটে বয়েছে উচ্চ পুষ্টি ক্ষমতা সম্পন্ন (ভিটামিন A, ভিটামিন B1, B2, B5, B6, B12, ভিটামিন C, D3, E, আয়োডিন, ফলিক এসিড, নিকোটিন এমাইড, আয়রন, জিংক, উন্নতমানের গমের আটা, উদ্ভিদজাত চর্বি, চিনি, আয়োডিন লবণসমৃদ্ধ)