শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন
কামরুল হাসান মুরাদ :: সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব ও অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে ব্যতিক্রমও পাওয়া যায় অনেক জনকে। যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থারস্থল হয়ে ওঠে। নিজের আন্তরিক সেবা দ্বারা হয়রানি থেকে মুক্তি দেন মানুষকে, নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেন জনবান্ধব। তেমনই একজন ঝালকাঠি সদর এসিল্যান্ড জহিরুল ইসলাম। ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার এই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম এক বছরে এখানে সবার কাছে জনবান্ধব কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন। ঝালকাঠি সদর এসিল্যান্ড জহিরুল ইসলাম তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে তিনি জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভূমি অফিস থেকে অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ করে মডেল ভূমি অফিসে রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে তিনি। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভূমি অফিসে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম যোগদানের পর উপজেলার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গতিশীল হয়েছে কাজ, দূর হয়েছে ভূমির মালিকদের হয়রানি ও ভোগান্তি। ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম ৩৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী জহিরুল ইসলাম শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ৩৫ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের পরীক্ষায়উত্তীর্ণ হয়। সফলতার সাথে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ট্রেনিং সমাপ্ত করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যোগদানের আগে তিনি শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় অাগে যেখানে ছিল ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম যোগদানের পর সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে ঝালকাঠি সদর ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয় আস্থার পরিবেশ। ইতিমধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে একজন জনবান্ধব ও সৎ কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝালকাঠির কয়েকজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী জানায়, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার যোগদানের পর থেকে আমাদের বলে দিয়েছেন, সেবা গ্রহিতাদের কোন ধরনের ভোগান্তি দেওয়া যাবে না। কোন ধরনের অার্থিক লেনদেন করলে অভিযোগ পেলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। ঝালকাঠির সব গুলো ভূমি অফিস এখন তার তত্বাবধানে সেবা প্রদানের মডেল। বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগে যেখানে প্রতিটা নামজারি কাজ পড়ে থাকতো মাসের পর মাস। তিনি এসে সবাইকে আদেশ দিয়েছেন রাতদিন পরিশ্রম করে হলেও নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে অালাপ করলে তারা জানায়, আগে ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হতো না। বর্তমান এসিল্যান্ড যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিসের অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। এখন নিদিষ্ট সময়ে টাকা ছাড়া সেবা পাচ্ছে স্থানীয় জনগন। এসিল্যান্ড অফিস এমন ভাল হবে অামরা কল্পনাও করেনি। আসলে এ এসিল্যান্ড স্যার আসার পরে ভূমি অফিসের চিত্র পাল্টে গেছে, এমনই কথা বলছিলেন অনেকেই। সুশীল সমাজ তথা সাধারন জনগনের দাবী, এসিল্যান্ড জহিরুল ইসলামের মত এমনই কর্মকর্তা যেন প্রতিটি অফিসে থাকে তাহলে দূর্নীতি অনেক অংশে লাঘব হবে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহিরুল ইসলাম জানায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলা ভূমি অফিসে এসে জনগন যাতে সেবা নিতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পরে নিদিষ্ট সময়ে তাদের কাজ করে নিতে পারে তার জন্য সবাত্বক চেষ্টা করছি। আরো বলেন, দালাল ধরে প্রতারিত হবেন না। সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত দিবেন না। নামজারি সরকার নির্ধারিত ফি কোর্ট ফি ২০টা, নোটিশ জারি ফি ৫০টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০টাকা,মিউটেশন খতিয়ান ফি ১০০টাকা সর্বমোট ১১৭০টাকা। কেউ অযথা হয়রানি করলে অথবা অতিরিক্ত অর্থ দাবি করলে আমাকে জানান।