সুমন খান,বিশেষ প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়া চাখার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে, আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী করায় চাখার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ,প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এলাকাবাসী তাদের যোগ্য নেতাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পরেন। গতকাল বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ,বানারীপাড়া উপজেলা পার্টি অফিসের সামনে থেকে , প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে শুভেচ্ছা জানান। সকল নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করে চাখার ইউনিয়ন উদ্দেশ্যে রওনা করে পার্টি অফিসে । সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে সকল ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ,বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ঘোষনা করা আওয়ামীলীগ মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে দেশজুড়ে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হচ্ছে। তারই ধারাবাহিতায় ১১ এপ্রিল বানারীপাড়া ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন বানারীপাড়া ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭ ইউনিয়নে অনেক জল্পনাকল্পনা অবসার ঘটিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থীর ঘোষনা করা হয়। ০৪ নং চাখার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুল ইসলাম টুকু কে নৌকার মাঝি ঘোষনা দেয়ায় চাখার ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া পূর্ন হয়েছে। গত ২০১১ সালে ০৪ নং চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে এলাকার মানুষের সর্বজন প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই টুকু। ৫ টি বছর সুনামের সহিত ইউনিয়ন পরিচালনা করে ও গত নির্বাচনে যখন দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তখন চাখার ইউনিয়নবাসী খুবই হতাশ ও মর্মাহত হয়েছিল। গত ০৫ বছর তার অভাবটা উপলব্ধি করেছে চাখারবাসী। এবারের নির্বাচনে মজিবুল ইসলাম টুকুকে নির্বাচিত করায় চাখার বাসী আপ্লুত আবেগে বলেন আমরা যোগ্য নেতাকে পেয়েছি। আজ আমাদের স্বপ্ন পূরন হয়েছে। সংগ্রামী এই সাবেক চেয়ারম্যান ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করে দীর্ঘ ২৮ বছর সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত থাকা টুকু ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে বরিশাল লঞ্চঘাটে হামলার স্বিকার হন। ঐ বছরের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনের জনতামঞ্চে দিন রাত অবস্থান করেন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে চাখার কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ করার অপরাধে টুকুসহ তার তিন ভাই মামলার আসামী হয়ে ০৫ টি বছর গৃহহারা হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এই দলের জন্য আর একটি হত্যা মামলার ও আসামী হন মজিবুল ইসলাম টুকু। মজিবুল ইসলাম টুকু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ০৫ বছরে এলাকা থেকে ০৬ জন মুসলমান ব্যক্তিকে বিনা খরচে মক্কা শরীফে হজ্ব করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। চাখার রেজিস্ট্রি অফিসে ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। চাখার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর জন্য ১০ শতাংশ জমি দান করেন। চাখার হাইস্কুল ভবন নির্মানের জন্য মজিবুল ইসলাম টুকুর পরিবারের পক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। খলিশাকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব স্থাপনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় মজিবুল ইসলাম টুকুর পরিবারে পক্ষ হতে। শেরে বাংলার পরিত্যক্ত ডাকবাংলা টুকুর নিজ খরচে সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন, শেরে বাংলার নিজ হাতের তৈরি হক স্পোটিং ক্লাবের তিন তলার বিল্ডিং এর কাজ নিজ খরচে করেন যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউট ( হাইস্কুল) স্কুলে ২ লাখ, চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকা এবং খলিশাকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ টাকা উন্নয়ন তহবিলে প্রদান করেন। মজিবুল ইসলাম টুকু মহামারী করোনাকালীন সময়ে গৃহবন্ধী ২ হাজার মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে রাতের আধারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।বর্তমানে চাখার পুলিশ ফাড়ির জন্য তিন শতক জমি দান করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ০৫ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মজিবুল ইসলাম টুকু বলেন বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিক নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ধারন করে ডিজিটাল বাংলার রূপকার মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। দলআমাকে মনোনয়ন করেছে। আমি বিপুল ভোটে চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ।