ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১শ ১০ পাউন্ডের বিশাল কেক কেটে মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। স্থানীয় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে বুধবারর সকাল ৮ টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সহ সরকারী, বে-সরকারী বিভিন্নপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়ে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সী।
উপজেল নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, সহকারি কমিশনার ভূমি ফিরোজা পারভীন, আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাবেদ মাহমুদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুবি জাহান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গোলাপ মিয়া প্রমুখ।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১শ ১০ পাউন্ডের বিশাল কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলার কাচারি প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মু্র্যালে পৃথকভাবে পুষ্প স্তবক অর্পন করে।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী।
যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এ দেশের জনগণ থাকবে, তত দিনই বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।’