করোনাকালে সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের আচরণগুলো দেখতে কেমন লাগে?


সাংবাদিককে কোমরে লাথি মেরে মটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়েছে এএসপি হুমায়ুন কবির। গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন “আমি কে জানেন”? আইন মানেন না সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবির । কথায় কথায় সাধারন মানুষকে বেদম লাঠি পেটা করে নিজের ক্ষমতা জাহির করছেন। তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না গনমাধ্যমকর্মীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসা অসহায় খেঁটে খাওয়া মানুষ। লকডাউনের শুরু থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ সহকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষর্শীদের ভাষ্যমতে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে পাটকেলঘাটার স্থানান্তরিত সবজির বাজার পাটকেলঘাটার বলখেলার মাঠে হামলা চালাতে শুরু করে। এসময় বাজারে হরেকরকম শাঁক-শবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারের বেশ কয়েকটি দেকানে নিজেই পা দিয়ে লাথি মেরে বিভিন্ন তরিতরকারি ঝুঁড়ি থেকে ফেলে দেয়।
এ সময় বাজারে উপস্থিত কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মী এগিয়ে গেলে এএসপি হুমায়ুন কবির তার এই দৃশ্য ছবি তোলা হয়েছে দাবি করে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাতক্ষীরার সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কোন প্রকার কথা ছাড়াই ছিনিয়ে নেয়।
এসময় স্থানীয় অন্যগনমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে আসলে সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন “আমি কে জানেন? এমন দম্ভোক্তি ছুড়ে দিয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার পূর্বে ২টার দিকে পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজের ওপর জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি তৌহিদুজ্জামানকে গতিরোধ করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের দুই চাকায় কাটা ফুঁটিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বৈধকাগজপত্র থাকা সত্বেও কেন এমন ব্যবহার করা হচ্ছে জানতে চাইলে পুলিশসুপার অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেছে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ওই ঘটনার পরেই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কুমিরা কদমতলা মোড়ে জনতার মিছিল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিলকে তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে এএসপি হুমায়ুন কবির সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিলের কোমরে লাথি মারেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে বেদম মারপিটক করে মটরসাইকেলটি নিয়ে নেয়।
এঘটনার পরপরি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম পাটকেলঘাটায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে কুমিরায় পৌছালে তাকেও গতিরোধ করে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও তার মটরসাইকেলটির চাকায় লোহার হুক ঢুকিয়ে টায়ার সম্পূর্ন অকেজো করে দেয় সাথে থাকা কনস্টেবল সুজন ও তার বডিগার্ড।
পাটকেলঘাটা এ্যাসিল্যান্ড অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ জহুরুল হক ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সাংবাদিক শাহিন বিশ্বাসের পরিচয় পেয়েও তাদের মটরসাইকেলের টায়ার লোহার শিক দিয়ে ছিদ্র করে অকেজো করে দেওয়া হয়।
এঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে কুমিরা এমএনবি ব্রিকস্ এর ম্যানেজার গিয়াসউদ্দিন(৫৫) রাত পৌনে ৮টার দিকে তার গ্রামের বাড়ী জুসখোলায় ফেরার পথে পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পৌছাতেই তার উপর লাঠি চার্জ শুরু করে। এসময় হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে তার শরিরের ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
ভূক্তভোগীরা পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের এহেন কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।