শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসবকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন চিত্রনায়ক আলমগীর। কিন্তুগতকাল রোববার হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব রটিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর খবর কয়েকটি অনলাইনে প্রকাশ ও করে,আর তখন থেকেই এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। নায়ক আলমগীরের শুভানুধ্যায়ীরা ফোন করতে থাকেন তার পরিবারের সদস্যদের কাছে। হাসপাতালে অবস্থান করা পরিবার ও স্বজনরা এ সময় বিরক্তিকর অবস্থায় পড়েন। তারা এ নিয়ে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নায়ক আলমগীরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। এমন সময়ে এ ধরণের গুজবে মর্মাহত হয়েছেন দেশবরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী।
বিশ্বস্থ একটি মাধ্যমে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নায়ক আলমগীরের মোবাইল ফোনে কথা হয়। নায়ক আলমগীর তার মৃত্যুর গুজবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষের কতটা অধঃপতন হলে একজন জীবিত মানুষকে মৃত বলে গুজব ছড়াতে পারেন। এসব গুজবে আমার পরিবার ও স্বজনরা অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ আছি, ভালো আছি। দেশবাসীর কাছে পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছি।’
আলমগীর আরো বলেন, ‘এখন কি গুজব ছড়ানোর সময়? নিজেদের বিকৃত মন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসুন। মানুষ হোন।’
জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বরেণ্য এই অভিনেতা আলমগীর। আগের চেয়ে বেশ ভালো আছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সুচিকিৎসায় উন্নত হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। এই অবস্থায় ফেসবুকে রোববার সন্ধ্যায় আলমগীরের মৃত্যুর গুজব কে বা কারা ছড়িয়ে ফেসবুক ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ গুজবসংক্রান্ত সংবাদ ও দেখা যায়। এরপর থেকেই হাসপাতালে থাকা আলমগীরের কাছে তার পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের ফোন আসতেই থাকে। তখনই বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। এরপর বিষয়টি পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগকে জানানো হয়। এ ঘটনার পেছনে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীর জন্মগ্রহণ করেন । তার আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তিনি নিজ জন্মভূমির স্মৃতিকে ধরে রাখতে নিজস্ব অর্থায়নে গোপালপুর বাজারে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন । তিনি ২০০২ সালে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে অভিনয়ে এসে চার দশকে তিনি ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন বেশকিছু সিনেমা। অভিনয় দিয়ে জিতে নিয়েছেন ৯টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই অভিনেতা। আলমগীরের সুস্থতা কামনা করে তার জন্মভূমি নবীনগরে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া করা হয়েছে।