শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জন্ম নিবে ভাণ্ডারিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য, স্বামী পলাতক বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে -মাহমুদ হোসেন পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা
কেবল একটি হুইল চেয়ারের আকুতি!

কেবল একটি হুইল চেয়ারের আকুতি!

মো. কাউসার। বয়স ২৫। ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর এলাকার খলিফা বাড়ির দিনমজুর বাবার সন্তান সে। তবে সংসারে সে যেনো এক বোঝা। মাত্র ১২ বছর বয়সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলে শারীরিক সক্ষমতা। হয়ে যায় প্রতিবন্ধী। এরপর থেকে লাঠির ওপর ভর করেই চলতে হচ্ছে তাকে। লাঠি ভর করেও ঠিকঠাক চলতে পারে না কাউসার। চলতে গেলে বার বার লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। কথাও বলতে পাড়েন না ভালো করে। প্রতিনিয়তই নিজের সাথে নিজে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তিনি। এখন সংসারের কাছেও বোঝা হয়ে আছেন কাউসার। কাউসারের বাবা আবুল কালামও একজন দিনমুজর। অন্যের ক্ষেত-খামারে কাজ করে সংসার চালান তিনি। মানুষের কাজ শেষে বাড়ি এসে কাউসারকে পরিচর্যা করতে হয় তার।
সন্তান কাউসারের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, খুব ছোট বেলায় কাউসারের মা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে সংসারে তিন ছেলে রেখে মারা যান। এরপর থেকে তিন সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বড় করতে হয়েছে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমার তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আলমগীর ও মেজ ছেলে এই কাউসার হয়ে যায় প্রতিবন্ধী। ছোট ছেলে ফোরকান ভালো আছে। তবে সে বিয়ে করে এখন ভিন্ন সংসার করছেন। আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেয় না। বড় ছেলে আলমগীর ঢাকায় থাকে। সেখানে ভিক্ষা করে সে। তবে মেজ ছেলে কাউসারকে নিয়ে এখন আমার কষ্টের শেষ নেই।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কাউসারের দেখাশোনা করতে হয় আমাকে। লাঠি ভর করে গিয়ে মানুষের কাছে হাত পাতে। ঠিকঠাক চলতে পারে না কাউসার। কিছুক্ষণ পরপরই মাটিতে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে পড়ে গিয়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। অনেক সময় আবার পড়ে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়। এমন অবস্থায় কেউ যদি কাউসারকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমার এই ছেলেটি একটু ভালোভাবে চলতে পারবে। তাই আমি সমাজের বিত্তবান ও কর্তৃপক্ষের কাছে একটি হুইল চেয়ারের দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার মাধ্যমেই আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই ব্যক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে শিগগিরই একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana