শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
একদিন বাদেই পবিত্র ঈদ-উল-আযহা, তবে আনন্দের ছিটেফোঁটাও নেই আামাদের মাঝে।
কারণ আমাদের চারিদিকেই অথৈ পানি, ঘরবাড়ি, মাছের পুকুর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলের মাঠ সবকিছু ডুবে গেছে। দুবেলা পর্যাপ্ত খাবার নেই, থাকার মত জায়গাও নেই। আর এসবের সাথে গবাদি পশু নিয়েও পড়েছি বিপাকে” কথাগুলো বলছিলেন বন্যা কবলিত গাইবান্ধার রবিউল ইসলাম রবি।
রবি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র এই শিক্ষার্থী নয় বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে অভিন্ন চিত্র। ঈদ মানে আনন্দ হলেও করোনা প্রকোপ আর আম্ফানের তাণ্ডবের পরে এই ভয়াবহ বন্যা তাদের ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।
সাপের উপদ্রব এবং পানিবাহিত রোগের বিষয়ে উল্লেখ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত জামালপুরের শিক্ষার্থী শফিক কাজল বলেন, আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বন্যায় পানিবাহিত রোগও বাড়ছে। সেই সাথে দেখা দিচ্ছে সাপের উপদ্রব। এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।তাই এলাকাবাসীর ঈদ উদযাপনের মানসিকতা নেই।
নিরাপদ পানি সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত মুন্সীগঞ্জের শিক্ষার্থী সালমান সারওয়ার বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে গেছে আামাদের চারপাশের গ্রামগুলো। ফসলের ক্ষেত ও গবাদি পশু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য সমস্যা ও নিরাপদ পানির সংকট। তাই ঈদ উৎসবের উপলক্ষ হয়ে আসলেও নেই কোনো আনন্দ।
এছাড়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাদারীপুরের আরেক শিক্ষার্থী প্রিতুল হোসাইন নদীভাঙন বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, পানি বৃদ্ধির সাথে দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। প্রবল পানির গ্রাসে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ফলে অন্যবারের মত ঈদের খুশি আর কাজ করছে না।
উল্লেখ্য, উজানের টানা বৃষ্টির সাথে বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ,সব মিলিয়ে অবনতি হচ্ছে দেশের বন্যা পরিস্থিতির। পানি উন্নয়ন বোর্ডে হিসাবে অন্তত ২৪জেলা বন্যা কবলিত। এছাড়া প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।
সুত্র bd24live.com