ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
মামাকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ!কারন ভাই-বোনের মৃত্যুর ঘটনা।

উল্লেখ্য যে, গতরাত সাড়ে নয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিফা আক্তার (১৪) ও কামরুল হাসান (১০) নামে দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তাদের মামা বাদল মিয়াকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ির খাটের নিচ থেকে আপন দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা ঐ গ্রামের সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের সন্তান। এদের মধ্যে শিফা বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও কামরুল হাসান সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনার পর থেকেই নিহতদের মামা বাদল মিয়া পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান সোমবার বিকেল ৪টা থেকে নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজতে পরিবারের সদস্যরা এলাকায় মাইকিংও করে। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর কামরুলের বোন শিফা আক্তারকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্চিলনা। পরে রাত ৮টার দিকে মা হাসিনা বেগম নিজের বাড়ির পৃথক দুটি কক্ষের খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতদের মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের কোনো শত্রু নেই। কে আমার ছেলে-মেয়েকে মেরে ফেলল?’

এদিকে কামাল হোসেনের পরিবারের চারজন সদস্য ছাড়াও নিহতদের মামা বাদল মিয়া একই বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে বাদল মিয়া পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের জন্য পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় গতরাতে অভিযান চালিয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের নিচ থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে পরিবার থেকে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে ওই বাড়িতে ঘটনার সময় বাদল মিয়া নামে তাদের এক মামাও ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে আটক করতে পারলে এ হত্যা কান্ডের ব্যাপারে অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ও জানান তিনি।