মোঃ রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ভুয়া প্রতিবন্ধী পরিচয়ে জাল-জালিয়াতি করে পেনশনের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি বরিশাল বিভাগীয় একাউন্টস অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে,উপজেলার ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চড়কগাছিয়া গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থেকে অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগ করার এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করলে তার স্ত্রী উক্ত পেনশন এর টাকা উত্তোলন করেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে পেনশন বন্ধ হয়ে যায়।
পেনশন বন্ধ হওয়ার পর ছেলে শহীদ হাওলাদার জানতে পারেন যে, পেনশনভোগীর প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে উক্ত পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। এটা জানতে পেরে নিজের নামে শ্রবণ প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন তিনি।
সরেজমিনে জানা যায়, লেহাজ উদ্দিন মাস্টার এর পুত্র শহীদ হাওলাদার প্রতিবন্ধী নয়। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রতিবন্ধীর অনুকূলে কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎকারী শহীদ প্রতিবন্ধী নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিবন্ধী কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যান।বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ভুয়া প্রতিবন্ধীর নামে পেনশনের টাকা উত্তোলন করায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করেছেন।তদন্তের বিষয়টি স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া অবগত আছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি অভ্যন্তরীন বিষয়। খুব শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।