শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা থেতে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের ৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকারের নির্দেশনায় পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , চলতি বছরের গত ১৭ আগস্ট সকালে মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের মূল হোতা পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পশ্চিম জগতবেড় গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে মোনারুল ইসলাম (২৫) দিনাজপুর যাওয়ার কথা বলে পাটগ্রাম উপজেলার স্টেশন মোড় এলাকা থেকে ইমরান মিয়ার মোটরসাইকেলটি ভাড়া করেন। পথিমধ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বালাগ্রাম বাজার থেকে ইমরানের বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যান মোনারুল। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম মোটরসাইকেলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ইমরান। ইমরানের একটি চোখ নষ্ট এবং তিনি এক প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা। এ ঘটনায় ইমরান মিয়া বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোরাচালান রোধে এসআই মিন্টু চন্দ্র রায়সহ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চক্রের মূল সদস্যকে চিহ্নিত করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চোরাচালান চক্রের অন্যতম সহযোগী পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোস্তাকিন ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর পেয়ে হোতা মোনারুল ঢাকায় পালিয়ে যান। আটক আসামি মোস্তাকিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই কায়দায় ওই গ্রুপের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া আরও একটি বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামি নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বালাগ্রাম এলাকার ওয়াহেদ আলী ওরফে তাহেদ আলীর ছেলে হানিফ ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। হানিফ আলীর দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোনারুলকে কৌশলে ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার জলঢাকায় ডেকে এনে সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর মোনারুলকে নিয়ে দিনাজপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের অপর সদস্য কোতয়ালী থানার গোলাপবাগ এলাকার মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে আফিরুল ইসলাম সাগরকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়। আফিরুলের দেয়া তথ্যানুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আব্দুল জলিলের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৩) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে ইউনুসসহ (২৫) চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। এ সময় পাটগ্রাম থেকে হাতিয়ে নেওয়া বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানো হয়ছে। ওই মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার চার আসামি থানাহাজতে রয়েছেন। আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।