শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতাঃ
সারাদেশে নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি পুলিশি নির্যাতন বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ ধর্মঘট। এর ফলে বুধবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে আটকা পড়েছে অর্ধ শতাধিক তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ।গত (১৯ অক্টোবর) থেকে তিনদিন ধরে চলছে এ নৌযান ধর্মঘট। ফলে সরকারের পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকরা অর্থ সংকটে পড়ছেন।
জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নেমেছে ধীরগতি। অন্যদিকে আশুগঞ্জের চার শতাধিক নৌযান শ্রমিক অলস সময় অতিবাহিত করছেন।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, পুলিশি নির্যাতন, শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ, বকেয়াসহ খাদ্যভাতা প্রদান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক হয়রানী বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, মৃত্যুকালীন ভাতা দশ লাখ টাকা নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে শ্রমিকরা এই ধর্মঘট শুরু করে। এতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়ে আছে বেশ কয়েকটি তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ। ধর্মঘটের কারনে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ার কারনে সমস্ত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে ও জানা যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আশুগঞ্জের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, ২০১৬ সাল থেকে আমরা এ কর্মসূচি গ্রহন করি এবং ২০১৮ সাল থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের ন্যায্য অধিকার ১১ দফা আদায়ের দাবিতে অনির্দিষ্টকাল সময়ের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছি। কিন্তু নৌযান মালিকরা আমাদের সেই যৌক্তিক দাবিগুলো এখন ও পর্যন্ত মেনে নেয়নী। যার কারনে আমরা আবারো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি এবং তা এখন ও চলমান আছে। নৌযান মালিক পক্ষ যদি আমাদের দীর্ঘদিনের যৌক্তক দাবীগুলো মেনে নেয় তা হলে আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেব। তবে শারদীয় পূজার কারনে সাধারণ মানুষের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করে ঐ ক্ষেত্রে ধর্মঘট শিথিল রাখা হয়েছে। যাতে করে পূজায় আগমনকারী লোকজন চলাচল করতে পারে। এ কারনে যাত্রীবাহী যান চলাচলের জন্য নৌযান চলাচল করতে বলা হয়েছে।