শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ব্যাক্তি গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। গণধোলাইয়ের শিকার ঐ ব্যাক্তির নাম খাজা আলমগীর। ঘটনাটি ঘটেছে নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রামে।
খাজা আলমগীর নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ-দফতর সম্পাদক। সে বানিয়াচং গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। আলমগীর হোসেন(খাজা আলমগীর) গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তবে তাকে হামলার পিছনে রয়েছে চাঁদাবাজীর অভিযোগ। তাই তিনি গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বানিয়াচং গ্রামের মোড়ে তিনি এ গণধোলাইয়ের শিকার হন। । তাকে মুমর্ষ অবস্থায় (খাজা আলমগীরকে ) কুমিল্লার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাজা আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আ’লীগ নেতা হওয়ার দাপট খাঁটিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে । গত সোমবার রাতে বানিয়াচং গ্রামের একটি রাস্তার মোড়ের দোকানদার বাইজিদ মোল্লার কাছে ২ লাখ,সবুজ মিয়ার কাছে ৫০ হাজার ও কাজী দুলাল মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তারই ফলশ্রুতিতে এলাকাবাসি সবাই মিলে তাকে গণধোলাই দেয়।
স্থানীয় কাজী দুলাল মিয়া,কাজী আবদুর রহমান,কাজী নাফিছ ও খোকন মিয়াসহ এমন আরো অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, ওই দিন রাতে চাঁদাদাবী করার সময় ভোক্তভোগী এলাকাবাসি তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। তার বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল বলেন, খাজা আলমগীর এলাকার চিহ্নিত একজন মাদক সেবনকারি ও ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন মামলায় জেল ও খেটেছে। আসামি সে। তার বিরোদ্ধে অনেক চাঁদাবাজির ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে । অনেক মামলাও চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে খাজা আলমগীর এর ছেলে হাসান জানায়,তার বাবাকে শ্যামগ্রামের(আলগা বাড়ির)এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৫/৭ জন লোক সংঘবদ্ধভাবে বানিয়াচং মোড়ে একা পেয়ে লোহার রড ও ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করা শুরু করে । বর্তমানে তিনি কুমিল্লার একটি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারী খাজা আলমগীর মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় উপজেলার কুরিনাল গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক মামলা চলমান রয়েছে।