শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন ছিলো মেধাবী শিক্ষার্থী তিশা’র (১৩)।
তার লালিত স্বপ্ন ছুঁতে ডানা মেলতে শুরু করলে ও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে তার সে লালিত স্বপ্ন। তিশা’র শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি টিউমার।
এতে করে তিশা’র মেরুদণ্ডের হাড় দিন দিন ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী তিশা প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। শুধুমাত্র দারিদ্রতা এবং অর্থাভাবে তার উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা। এ জন্য তাকে তার পরিবার টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেনা।
ইতিমধ্যেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিশা’র চিকিৎসকেরা।
মেধাবী শিক্ষার্থী তিশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজপাড়ার হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিশা’র অবস্থান পঞ্চম। তিশা জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তিশার মা আরজু বেগম জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করলে মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত উদ দৌলা খান তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে তিশার প্রথমে ব্যথা শুরু হয়। গত ১০ অক্টোবর পরিবারের লোকজন তাকে জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে ১৩ অক্টোবর পরিবারের লোকজন তিশাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে পরিবারের লোকজন তিশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোরওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৭ অক্টোবার ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিশার এমআরই পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তিশার মেরুদণ্ডের ছয় শতাংশ হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে এবং সেখানে একটি টিউমার ধরা পড়ে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিশার মেরুদণ্ডে হাড় প্রতিস্থাপন ও টিউমার সরানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এজন্য তিন মাস সময় লাগবে এবং তার এ চিকিৎসায় ব্যয় হবে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা। এখন টাকার অভাবে মেধাবী ছাত্রী তিশার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে।
তিশার মা আরজু আক্তার বলেন, সংসারের অভাব অনটনই দূর করা যাচ্ছেনা, তার উপর সন্তানদের পড়াশোনার খরচ। টাকা না থাকায় মেয়ের চিকিৎসাও বন্ধ হয়ে আছে। তিনি মেয়ের চিকিৎসার জন্য এবং মরণব্যাধি টিউমারের চিকিৎসা এবং মেধাবী তিশা’র জীবন বাচাতে সবার আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।
তিশাকে সহযোগিতা ও চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসার জন্য বিকাশ নম্বর (আরজু আক্তার-ব্যক্তিগত) ০১৭৮০৪২০৯৩৫। ব্যাংক হিসাব নম্বর ২১২১৫৭০০০৯৩১৬, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখায় দান ও সাহায্যের হাত বাড়াতে পারেন। এতে করে বাঁচতে পারে মেধাবী শিক্ষার্থী তিশা’র প্রাণ।