শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জন্ম নিবে ভাণ্ডারিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য, স্বামী পলাতক বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে -মাহমুদ হোসেন পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুধল-মজলিশপুর সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুধল-মজলিশপুর সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে একটি সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় ৫ কোটি ৯০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যায়ে উপজেলার বুধল-মজলিশপুর সড়ক নামে সাড়ে ৬ কিলোমিটার কাজের ওয়ার্কঅর্ডার হয়। সড়কটির নন্দনপুর, মজলিশপুর, মইন্দ বাজার ও বাড়িওরা বাজারে আরসিসি ঢালাই ও বাকী অংশে মেকাডম দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের মাধ্যমে সংস্কার কাজের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়।
কিন্তু সড়কটির সংস্কার কাজে নিম্নমানের ও মেশিনে ভাঙা ইট-খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, এটি উপজেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও হাইওয়ের সংযোগ সড়ক। সড়কটিতে বুধল ও মজলিশপুর দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের নিয়মিত চলাচল রয়েছে। খানাখন্দে বেহাল এই সড়কে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সম্প্রতি সড়কটির সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ দেয় সরকার। এতে স্থানীয়রা আনন্দ-উচ্ছাস প্রকাশ করলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে মেশিনে ভাঙা পঁচা ইট-খোয়া ব্যবহার করে চূড়ান্ত ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোলার চাপায় এসব ইট-খোয়া ধুলাবালিতে পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, ময়লাযুক্ত বালুর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ পঁচা ইটের খোয়া মিশিয়ে রাতারাতি রোলার করার বিষয়টি প্রথমে তাদের নজরে আসে। সড়কটির উন্নয়ন কাজে স্থানীয় পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা থেকে এনে পঁচা ইট-খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ করছেন।
এছাড়া যেসব অংশে আরসিসি ঢালাই দেয়ার কথা সেখানেও নিম্ন মানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। দরপত্রে ১২, ১৬, ২০, ২৫ মিলিমিটার ও ৩/৪ সাইজের পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও শুধু নিম্নমানের মাটি ও আবর্জনা মিশ্রিত পাথর ব্যবহার করে যেনতেনভাবে ঢালাই দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা সরকারি অর্থ আত্মসাত করতে এমন অনিয়ম করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। তবে সড়কটির উন্নয়নে অনিয়ম ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দরপত্রের সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স মোস্তফা কামাল নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সড়কটি সংস্কারের জন্য কার্যদেশ দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সড়কটির সংস্কার কাজ করছে মেসার্স লোকমান হোসেন নামক অন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান-যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া অতি সম্প্রতি জেলার কয়েকটি সড়ক সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় মেসার্স লোকমান হোসেন নামক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এন্থার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়ম করছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা দেখেও না দেখার ভান করছে। যে কারণে এ অনিয়মে এলজিইডি প্রকৌশলীর যোগসাজস রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল ও মেসার্স লোকমান হোসেনের স্বত্বাধিকারীদ্বয়ের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এল জি ইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি সড়কটির সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যাব। কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্ব্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যথাযথ মান রক্ষা করে সড়কটির উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana