শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ের জনপদ আজবপুর এলাকাটি মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে। রবিবার বিকালে সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা দেখতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুই-তিন বছরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের প্রবনতা ক্রমেই বাড়ছে। গত একবছরে নদীর তীরবর্তী প্রায় দুইশত ফুট জায়গা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজবপুর ডকইয়ার্ডের মালিক হাফিজমোল্লা জানিয়েছেন, গত দুইদিনে বেশ কিছু জায়গা ও ডক ইয়ার্ডের দশ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের যন্ত্রপাতি সহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এই ডক সংলগ্ন সাফি মোল্লার ৩০ শতাংশ জমি এক সপ্তাহের মধ্যে নদীতে মিলে গেছে।একই এলাকার দিরুমিয়ার ৪৫ শতাংশ ও দুলাল মিয়ার ৬০ শতাংশ জমি বিলীন হয়েছে। মায়ের দোয়া ডক ইয়ার্ডের মালিক মজনু মোল্লার ৩০ শতাংশ জায়গা ও জেসমিন ডকইয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গা সহ যন্ত্রপাতি বিলীন হয়েগেছে।স্থানীয় ইউ,পি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন এক বছরে প্রায় দুই শত ফুট জায়গা ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে।
এ ব্যপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের কাছে জরুরী উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানায়েছেন।
রোববার বিকালে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে সাবেক এম,পি এডঃ জিয়াউল হক মৃধা বলেন,
মেঘনার তীরবর্তী আজবপুর এককালে স্টিমার যাত্রা বিরতি করত। এখান থেকে স্টিমার দিয়ে কলকাতা যাওয়া যেত।
আশুগঞ্জ বন্দরের পর আজবপুর ছিল একটি পরিচিত নদীবন্দর । যা কালক্রমে এখন শুধুই স্মৃতি। এখানে গড়ে ওঠা ডকইয়ার্ড এলাকাবাসীর আয়ের একটি অন্যতম উৎস। নদী ভাঙ্গনের ফলে সম্ভাবনাময় শিল্পটি এখন বিলীন হওয়ার পথে।
বিগত দুই তিন বছরে ভাঙ্গনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেজন্য তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহন করার দাবি জানান। এবং অনতিবিলম্বে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে ডকইয়ার্ড ব্যবসা কেন্দ্র ও এ জনপদ অচিরেই নদী বক্ষে বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করেন।