শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শত বর্ষী বৃদ্ধ চাঁন মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ বড়ুয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ছুটে যান সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতার কোনাহাটি গ্রামে। বার্ধক্যজনিত কারণে চাঁন মিয়া অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে গত দুই বছর যাবত। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোস্কা পড়ে পচঁন ধরেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে করতে পারছেন না চিকিৎসা। চিকিৎসা তো দূরের কথা, রয়েছে খাবারের অভাবে।
এনিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে আমাদের সময় ডটকম ও দৈনিক সরোদ অনলাইনে ও বুধবার খবর দিনরাত,বিডি টাইমস নিউজ, পিরোজপুর সময়,ইন্দুরকানীর আলোতে শত বর্ষীএই বৃদ্ধের জন্য সহায়তা চেয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই ওই বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর নজরে আসলে তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে ছুটে যান বৃদ্ধ চাঁন মিয়ার বাড়িতে। সেখানে তিনি চাঁন মিয়ার পরিবারের হাতে নগদ ৫হাজার টাকা, ২টি লুঙ্গী, ৩টি কম্বল, চাল ১০ কেজি, ডাল ৭কেজি, তেল ২লিটার, চিনি ৩ কেজি ও লবন ২ কেজি তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ বড়ুয়া বলেন, চাঁন মিয়ার পরিবারের মতো যে সকল পরিবার আছে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। চাঁন মিয়ার পরিবারে তার স্ত্রীও অনেক বৃদ্ধ এবং তার একটি মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। এই পরিবারটিকে পূনর্বাসন করতে সবকিছু করবে উপজেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, চাঁন মিয়ার পরিবারের নাম গৃহহীনের তালিকায় কেউ দেয়নি, তা আমি অবগত ছিলাম না। সামনের তালিকায় তাদের নাম নতুন করে উঠানো হবে এবং নতুন ঘরসহ ঠিকানা হবে তাদের।
এসময় ইউএনও’র সাথে চাঁন মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জীবন ভট্রাচার্য ও বুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হক৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতার কোনাহাটি গ্রামের চাঁন মিয়ার নিজের বাড়ি ও প্রায় ২৪০ শতাংশ কৃষি জমি ছিল। সেই জমিতে কৃষি করে চলতেন। এক সময় আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিল। ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক তিনি। এরমধ্যে বড় মেয়ে জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। চাঁন মিয়া অসুস্থ হয়ে বিছানা পড়েন প্রায় দুই বছর আগে। এরপর থেকে অভাব অনটন আরও বাড়তে থাকে। অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে তার শরীরে বিভিন্ন অংশে ফোসকা পড়েছে। এই ফোসকা পচঁন ধরেছে। কিন্তু চিকিৎসা করার মতো অর্থ নেই। অর্থের অভাবে এমন সময় যায় এক বেলা খেলে আরও একবেলায় না খেয়েও থাকতে চাঁন মিয়ার পরিবারকে।
বৃদ্ধ চাঁন মিয়াকে সহায়তা করতে পারেন আপনিওঃ সাহায্য পাঠাতে পারেন উল্লেখিত বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে -০১৮৪৬৬৬৪৫৯৯।