জুলফিকার আমিন সোহেল, নিজস্ব প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনার জেরে পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ নারী এক শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো- উপজেলার গুরিসাখালী (মাইট ভাংঙ্গা) গ্রামের মৃত.মানিক হাওলাদেরর স্ত্রী সূর্যভান বেগম (৬৫), দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬), মেয়ে দিবা আক্তার (১৩), মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলাদার (৪০), মিলন হাওলাদারের মেয়ে তন্বি আক্তার (১৪) ও কবির হাওলাদারের ছেলে সাব্বির (১১)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মিলন হাওলাদার বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে মিলন হাওলাদারের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী তন্বি আক্তারের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে স্থানীয় কথিত ঘটক নাছির মল্লিক । এসময় তন্বি আক্তারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা লোকদের অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। পরে পাশের বাড়ি শাজাহান মল্লিকের মেয়ে সাদিয়া (১৩) জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। এদিকে মেয়ে দেখতে আসা গ্রæপ আসরের নামাজ আদায় করতে বাড়ির সামনের রাস্তায় মোটর সাইকেল রেখে নামাজ আদায় করতে গেলে অজ্ঞাত শিশুরা কাঁদা-মাটি মেখে দেয়। এতে সাদিয়ার পিতা শাজাহান মল্লিল মিলন হাওলাদারকে সামনে পেয়ে তাদের বাড়ির মিশুদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করাসহ মারধর শুরু করে। এসময় মল্লিক বাড়ির রুহুল,বেল্লাল,আলতাফ কামাল মল্লিক, ঝুমুর, নাজমীন, মাসুমা, পাখী বেগম, তাজেনুর বেগম একত্র হয়ে পর্যায় ক্রমে ৬ জনকে পিটিয়ে প্রথম দফায় আহত করে। সন্ধার পরে আবারও দুলাল হাওলাদারের বসত ঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। এসময় গোটা এলাকায় আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা মঠবাড়িযা থানার এএসআই আরিফ জানান, তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেযা হবে।